ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা
কলকাতা: গ্রীষ্ম আসে এবং ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা আমাদের সবচেয়ে অবাঞ্ছিত উপায়ে জলশূন্য করতে শুরু করে। গ্রীষ্মকালে, অত্যধিক ঘামের কারণে আপনি ক্লান্ত বোধ করেন এবং অবশেষে আপনার সমস্ত শক্তি শেষ হয়ে আসে। এই ঋতু এবং ডিহাইড্রেশন মোকাবেলা করার সর্বোত্তম উপায় হল দিনে অন্তত দুইবার ঠাণ্ডা পানীয় পান করা। আম পান্না, লস্যি থেকে বিভিন্ন ধরণের শরবত এবং আরও অনেক কিছু, বাছাই করার এবং বেছে নেওয়ার জন্য প্রচুর রেসিপি রয়েছে এবং আপনার তৃষ্ণা মেটাতে উপযুক্ত।
আপনি যদি গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে শরবত পান করতে পছন্দ করেন, তাহলে আমরা এখানে আপনার জন্য শরবতের রেসিপি নিয়ে এসেছি যা বাড়িতে চেষ্টা করে দেখুন। এক গ্লাস ভরা শরবত আপনাকে গরম থেকে উপশম দেবে নিশ্চিত।
বেলের শরবত
কিছু পাকা বেল (২-৩ মাঝারি আকারের) এবং রেডি হয়ে যান শরবত তৈরির জন্য। বেলের পাল্পটি ছাড়িয়ে নিয়ে ভাল করে মেখে নিতে হবে। তারপর পাল্প গুলো ছেকে নিন, ছাঁকার সময় তাতে কিছুটা জল যোগ করুন এবং অবশেষে ছেঁকে নেওয়া মিশ্রণে কিছু গুড় বা চিনি যুক্ত করুন। কিছুক্ষণ রেখে শরবতটি ঠান্ডা করে নিন এবং গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় এটি উপভোগ করুন!
তরমুজ পুদিনা ক্রাশার
তরমুজ পুদিনা ক্রাশার, অলস গ্রীষ্মের বিকেলে তৈরি করা খুব সহজ এবং এটি একটি আকর্ষণীয় পানীয়। প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি হ’ল এক কাপ তাজা তরমুজ, চার থেকে পাঁচটি পুদিনা পাতা, পাঁচ ফোঁটা লেবুর রস এবং এক টেবিল চামচ চিনির সিরাপ। তরমুজটি কিছু অংশে কেটে নিয়ে বীজ গুলো ছাড়িয়ে ফেলে দিন। একটি ব্লেন্ডারে সমস্ত উপাদান যুক্ত করে সবকিছু মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত এটি মিক্স করুন। এটিকে একটি গ্লাসে ঢেলে নিয়ে তাজা পুদিনা দিয়ে সাজিয়ে নিন।
লেবুর শরবত
গ্রীষ্মকালে তেষ্টা মেটানোর জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিতে লেবুর শরবত এর চেয়ে ভাল বিকল্প আর কিছু নেই। একটি লেবু কেটে রস বার করে জল/সোডায় দিন। কিছুটা কালো নুন এবং চিনি মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে নিয়ে কিছু টাটকা পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে উপভোগ করুন!
আম পান্না
সব ফলের রাজা, আমের মৌসুম এখন! এটি তৈরির জন্য আপনার প্রায় ৫ টি ছোট কাঁচা আম এবং কিছু সাধারণ রান্নাঘরের উপাদান প্রয়োজন। আমের খোসা ছাড়িয়ে কেটে একটি প্যানে রান্না করুন, মাঝারি আঁচে এক কাপ জল যোগ করুন ৪ মিনিট পর্যন্ত। আম এবং জলের মিশ্রণটি একটি ব্লেন্ডারে দেওয়ার আগে আমটি অবশ্যই নরম হতে হবে। আরও ৩ কাপ জল, কিছু চিনি এবং পুদিনা পাতা এবং মিশ্রণ যোগ করুন। মিশ্রিত মিশ্রণটি একটি পাত্রে মিশ্রিত করে এবং এতে লবণ, গোলমরিচ এবং জিরা গুঁড়ো দিয়ে ভালভাবে নেড়ে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। পরিবেশন করার আগে, মিশ্রণটি সময়ের সাথে ঘন হয়ে গেলে কিছুটা জল যোগ করে নিন। ব্যস রেডি আপনার আম পান্না!
জলজিরা/ শিকঞ্জি
গরমকালে অনেকেই হজমের গোলমালে ভোগেন, তাঁদের জন্য আদর্শ পানীয় হচ্ছে জলজিরা। মূল উপাদান জল, শুকনো তাওয়ায় ভাজা ও গুঁড়িয়ে নেওয়া জিরে ও শুকনো লঙ্কা, স্বাদ অনুযায়ী বিটনুন, লেবুর রস, পুদিনার কুচি, আদার স্লাইস, সামান্য চিনি বা গুড়। জল ও বাকি সমস্ত উপাদান ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো করে চালিয়ে নিন। সারা রাত ফ্রিজে রাখুন। পরদিন সকালে উঠে ছেঁকে পরিবেশন করুন। পরিবেশনের আগে উপরে অল্প ভাজা মশলা ছড়িয়ে দেবেন।
লস্যি/ ঘোল/ ছাস
তিনটি পানীয়েরই বেস হচ্ছে ঘরে পাতা টক দই। উত্তর ভারতীয় লস্যি বেশ ভারী, সাধারণত ফুল ক্রিম মোষের দুধে তৈরি হয় বলে লম্বা এক গ্লাস লস্যি খেলে পেট ভালোই ভরে যায়। লস্যিতে আম বা তরমুজের শাঁসও মেশানো হয়। স্বাদ বাড়াতে সামান্য চিনি, বিটনুন, লেবুর রস ছড়িয়ে দিতে পারেন, তবে ফলের লস্যিতে সেটাও দরকার পড়ে না। বাঙালির ঘরোয়া ঘোল লস্যির মতো ঘন নয়, পাতলা। মিষ্টির ভাগ বেশি, তবে নুন-মিষ্টি-গন্ধরাজ লেবুর পারফেক্ট ব্যালান্সে শরীর-মন স্নিগ্ধ হয়ে যায়। দক্ষিণ ভারতীয় ছাসে মেশানো হয় কারিপাতা, আদার কুচি, থাকে গোটা জিরে, ভাজা মশলা, কাঁচা লঙ্কা। তবে এটি মূলত নোনতা, মিষ্টি দেওয়া হয় না সাধারণত।
আখের রস
আখের রস বাজারে যেভাবে বিক্রি হয়, তা থেকে দূরে থাকতে পারলেই ভালো। একে তো খোলা জায়গায় পরিচ্ছন্নতার বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করেই ফলের রস নিষ্কাশন করা হয়। তার উপর মেশিনে ব্যবহৃত তেল সরাসরি মেশে ফলের রসে, স্বাস্থ্যের পক্ষে সেটাও খুব একটা ভালো নয়। গোটা আখ টুকরো করে কেটে বাড়িয়ে নিয়ে আসুন, তার পর খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ডারে পিষে ছেঁকে নিলেই তৈরি সুস্বাদু আখের রস।
Publish By Abanti Roy
Get Current Updates on, India News, India News sports, India News Health along with India News Entertainment, and Headlines from India and around the world.