সকাল থেকে চলছে কখনও হালকা তো কখনও ভারী বৃষ্টি! আগামী কয়েকদিন ধরে এমনই অবস্থা থাকবে। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আর এমন একটা আবহাওয়ায় বাঙালির পাতে ইলিশ না হলে কি মানায়!! আর তা যদি হয় পদ্মার ইলিশ তাহলে তো কোনো কথাই নেই। ভোজন রসিক বাঙালির এই স্বাদ পূরণ করতে বাংলাদেশ সরকারের উপহার বাংলাকে।
তাও আবার দুর্গাপুজোর আগেই। কথা মতো পদ্মার ইলিশ বাংলায় রফতানি করলো শেখ হাসিনার সরকার। ইতিমধ্যে হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে পৌঁছে গিয়েছে বাংলাদেশের খাঁটি পদ্মার ইলিশ। একের পর এক বাক্সে সেই ইলিশ রাখা রয়েছে। যা দেখলে কেনার লোভ হবেই খাদ্যরসিক বাঙালির।
আর সেজন্যে আজ শুক্রবার সকাল থেকেই সেই ইলিশের বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে। তবে,সাধ থাকলেও দামের কারণে কেনার সাধ্যি নেই ক্রেতাদের। দাম যে আকাশ ছোঁয়া। বহু প্রতীক্ষার পর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত হয়ে ইলিশ বোঝাই লরি এই রাজ্যে ঢোকে। রাতেই হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে পৌঁছে যায় ইলিশ। আর তা পৌঁছানোর পর শুক্রবার সকাল থেকেই হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারের শুরু হয় ওই ইলিশের কেনাবেচা। শুক্রবার সকাল থেকেই হাওড়া ও কলকাতার অন্যান্য মাছের বাজারে এই ইলিশ ঢুকতে শুরু করেছে। ৭০ মেট্রিক টন ২২টি ট্রাকে ইলিশ মাছ ঢুকেছে হাওড়ার পাইকারি বাজারে। কিলো সাইজের মাছ ১,৬০০ টাকা রেট চলছে। বাংলাদেশের ইলিশের যেহেতু বরাবরই আলাদা একটা আকর্ষণ থাকে তাই মাছের চাহিদা থাকলেও দামের কারণে বিক্রিতে যেন মন্দা লেগেছে।
উল্লেখ্য, গত বছর পুজোয় ৫ হাজার টন ইলিশ পাঠিয়েছিল হাসিনা সরকার। সৌজন্য এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখতেই ইলিশ কূটনীতি চলে। এবারও রাজ্যে পুজোর আগেই ঢুকলো বাংলাদেশের সুস্বাদু পদ্মার ইলিশ। তবে আরও ইলিশ বাংলায় রফতানি হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৯৫০ টন ইলিশ এই দেশে রফতানির অনুমতি দেয় বাংলাদেশ।
কিন্তু এই সময়সীমার আগে ইলিশ রফতানি বন্ধ হতে পারে বলে খবর। ফলে পুজোয় বাংলাদেশের ইলিশ বাঙালির পাতে পড়বে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। জানা যাচ্ছে, ইলিশের ডিম পাড়ার মরশুম শুরু হবে। আর সেই কারনে পদ্মায় ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে বাংলাদেশ সরকার। এই অবস্থায় এপার বাংলায় ইলিশ রফতানি নিয়ে একটা শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
Get Current Updates on, India News, India News sports, India News Health along with India News Entertainment, and Headlines from India and around the world.